ঝাঁকে ঝাঁকে পাখির বিচরণ, আকাশে ওড়াউড়ি, কিচির-মিচির শব্দ, টলটলে স্বচ্ছ পানিতে মাছের দৌড়ঝাঁপ, সাজানো শ্যাওলা যেন সাগর তলার বাগান। মাঝে-মাঝে হিজল বন, জসীমউদ্দীনের কথা মনে করিয়ে দেয়। দিগন্ত বিস্তৃত বিশাল হাওর, বিশাল জলরাশি, কিন্তু তা নদী বা সমুদ্রের মতো নয়, অন্য রকমের এক সৌন্দর্য। বলছিলাম টাঙ্গুয়ার হাওরের কথা। টাঙ্গুয়ার হাওড় হচ্ছে এমনি একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জায়গা, যা আপনি না দেখলে আপনি বিশ্বাসই করতে পারবেন না। কত রকমের সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে সেখানে। হাওরের সঙ্গেই হেলান দিয়ে আছে বিশাল শিলং, মেঘালয়ের পাহাড়। সাঁতারের লোভ তো সামলাতেই পারবেন না। কী নেই সেখানে! সংক্ষেপে এটা হতে পারে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সুন্দরবন। কিন্তু এর মজাটা সুন্দরবনের চেয়েও আলাদা। কেউ যদি এই কর্মব্যস্ত জীবনে কয়েক দিনের জন্য রুটিন থেকে বেড়িয়ে আসতে চান, চান একটু মুক্ত বাতাস, দিগন্ত বিস্তৃত আকাশ, চলে আসুন এখানে।
ভ্রমণসূচি : ঢাকা থেকে এসি বাসে সিলেটে যাত্রা। সুনামগঞ্জের সার্কিট হাউসে অথবা স্থানীয় হোটেলে থাকা। পরদিন বড় নৌকায় করে টাঙ্গুয়ার হাওরে। ছোট-বড় নদী, ফসলের মাঠ পেরিয়ে ৮/১০ ঘণ্টা জার্নির পর টাঙ্গুয়ার হাওরের প্রবেশপথে চেকপোস্টে আগমন। নৌকায় রাতযাপন। ভোরে আলাদা ছোট নৌকা দিয়ে সারাদিন হাওরে ভ্রমণ। ফিরে এসে নৌকায় রাতযাপন।
একদিন সুনামগঞ্জে ও সিলেটে থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা। ভ্রমণ মূল্য : ৫ হাজার ৯৯৯ টাকা। কমপক্ষে ১০ জন লোক হলে প্যাকেজ পরিচালনা করা হয়।